ব্রেকিং নিউজ
শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: সেই সঙ্গে তার গ্রেপ্তারের খবর লন্ডনে পৌঁছালে আকাশের ঘন কালো মেঘ নামে তারেক রহমানের মুখে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, আমাদের জন্য ইলিয়াস সম্পদ। তার গ্রেপ্তার বিএনপির পথচলায় দারুণভাবে প্রভাব ফেলবে। আমরা সবাই তার ফিরে আসার প্রতীক্ষায়।
দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, চাঁদা দাবি ও হুমকির মামলায় সম্প্রতি সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনের নামে হুলিয়া (পলাতক আসামিকে হাজিরের নোটিশ) জারি করে নিউইয়র্ক পুলিশ। সেখানকার বাড়ির দরজা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগায় বিতর্কিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াসের ছবি সম্বলিত ‘ধরিয়ে দিন’ পোস্টার। এরপর থেকেই বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে রয়েছেন জ্যামাইকার ১১৩ প্রেসেন্ট হাজতে। সব ঠিক থাকলে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে তোলা হবে কোর্টে।
বিষয়টি নিয়ে দুঃশ্চিন্তার রেখা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কপালে। লন্ডনের কিংস্টনভিত্তিক একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, খবরটি শোনার পর থেকেই তারেক বিষণ্ন হয়ে পড়েছেন। বিভিন্নজনের কাছে ফোন করে ক্ষণে ক্ষণে নিচ্ছেন আপডেট। বলছেন, ছেলেটা হাজতে থাকলে অনলাইন প্রচারণায় বিএনপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সরকারবিরোধী মনোভাব সৃষ্টিতেও পড়বে ভাটা। তাই খুব করে দরকার ইলিয়াসের বাইরে থাকা।
তার জামিনে সব ধরনের সহায়তা করারও আশ্বাস দিয়েছেন তারেক, উল্লেখ করে সূত্রটি আরও জানিয়েছে, তারেক রহমানকে আড্ডা-আলোচনায় বলতে শোনা গেছে ইলিয়াসের জামিনের জন্য যা যা করা দরকার। তার সবই করবে বিএনপি।
বিষয়টি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, ইলিয়াস মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাজ করেন বিএনপির ‘পেইড এজেন্ট’ হয়ে, এটা এখন ওপেন সিক্রেট। সবাই-ই জানে। সে কারণে তার গ্রেপ্তারে তারেক রহমান বিচলিত হবেন, তার জামিনের জন্য মরিয়া হবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দিনশেষে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না। কারণ, আইন চলবে নিজস্ব গতিতে আর অপরাধী পাবে তার শাস্তি। এটাই নিয়ম। এটাই হয়ে আসছে। হবেও ভবিষ্যতে।