৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:০০

ব্রেকিং নিউজ

শিরোনাম

ওজুতে যেসব ফজিলত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Print Friendly and PDF

ইসলামিক ডেক্স:- কোরআন তিলাওয়াতের জন্য অজু করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়ার সবসময় অজু অবস্থায় থাকার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অজুর ফজিলত বর্ণনা করেছেন। অজুর মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয় বলেও জানিয়েছেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

 

বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন কোন মুসলিম বা মুমিন বান্দা অজুর সময় মুখমণ্ডল ধোয়, তখন তার চোখ দিয়ে তার করা পাপরাশি পানির সঙ্গে কিংবা পানির শেষবিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যায়। আর যখন সে তার দুই হাত ধৌত করে তখন হাত দিয়ে করা গুনাহগুলো পানির সঙ্গে বা পানির শেষ ফোটার সঙ্গে ঝরে যায়। এরপর সে যখন তার পা দু’টি ধৌত করে, তখন তার দু’পা দিয়ে করে গুনাহ পানির সঙ্গে বা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এমনকি সে তার যাবতীয় (সগীরা) গুনাহ থেকে মুক্ত ও পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন হয়ে যায় । (মুসলিম, হাদিস, ২৪৪)।

 

অজুর ফজিলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কাজ সম্পর্কে জানাবো না, যা করলে আল্লাহ তার বান্দার পাপরাশি দূর করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন? লোকেরা বলল, (হে আল্লাহর রাসূল!) অবশ্যই আপনি তা বলুন। তখন তিনি বললেন, অসুবিধা ও কষ্ট থাকাসত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, (প্রত্যেকদিন পাঁচবার)। এক নামাজ আদায়ের পর পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা। আর এগুলোই হলো সীমান্ত প্রহরা (অর্থাৎ আল্লাহর আনুগত্যের গণ্ডির মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখা)।’ (মুসলিম, হাদিস, ২৫১)

 

অপর এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ অজুর মতো (সুন্দর করে) অজু করে দু’রাকাত (তাহিয়্যাতুল অজু) নামাজ আদায় করবে এর মধ্যে অন্য কোন চিন্তা মনে আনবে না, আল্লাহ তায়ালা তার আগে হয়ে যাওয়া সব (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (বুখারি, হাদিস, ১৬৪, ১৬০)

Logo

<div class="fb-share-button" data-href="” data-layout=”button” data-size=”small”>