ব্রেকিং নিউজ
শিরোনাম
যুদ্ধে টিকতে না পেরে অনেক সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। কীভাবে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে তা নিয়ে মিয়ানমারের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশই ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
মিয়ানমারে বেড়েই চলেছে চলমান সেনা-বিদ্রোহী সংঘাত। আর এ যুদ্ধের আঁচ পড়েছে বাংলাদেশেও। আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামের মানুষের। তবে মিয়ানমার প্রসঙ্গে এরই মধ্যে আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারতে গিয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনদিনের সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দীর্ঘ এই আলোচনা করেন তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছে। যুদ্ধে টিকতে না পেরে অনেক সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। কীভাবে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে তা নিয়ে মিয়ানমারের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশই ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে দিনের পর দিন রাখা সম্ভব নয়। কীভাবে তাদের দেশে পাঠানো যায়, তা নিয়েও আলাপ হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার সীমান্ত নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। তাই দুই দেশ মিলেই মিয়ানমার সংকটে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া একই ইস্যুতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করার কথা উঠে এসেছে।