ব্রেকিং নিউজ
শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যে ভেজালের লাগাম কিছুতেই টেনে ধরা যাচ্ছে না। নতুন নতুন কৌশলে খাদ্যে ভেজাল সামগ্রী মিশ্রণ করে চলেছে সরবরাহকারীরা । দফায় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসকল ভেজাল পণ্য ধরা পড়লেও অন্য কৌশলে ফের চালু হয়ে যায়। বিশেষ করে মসলা জাতীয় ভেজাল পণ্য শনাক্ত করা কঠিন। শুধু রান্নার সময় ধরা পড়ে। মূলত মসলা তৈরির কারখানা থেকেই ভেজালের সুত্রপাত হয়। যেখানে মরিচের গুড়োর সাথে রঙ, হলুদের গুড়োর সাথে কাঠর গুড়া এবং গরম মসলার সাথে ভুষি মিশিয়ে তারপর বাজারজাতকরণ; এমন একটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে রঙ ও কাঠের গুড়া ও নিম্নমানের ভুষি মিশ্রিত ৯শ কেজি ভেজাল মসলা জব্দ করা হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকায় মিয়াখান নগর ব্রিজের পাশে একটি মসলা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে এই ভেজাল মসলা জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কারখানার মালিক বাচ্চু মিয়াসহ চার শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে কারখানার মালিক বাচ্চু মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি জব্দকৃত মালামাল জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রতীক দত্ত। এসময় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ওবায়দুল হকও সঙ্গে ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম এর জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে এরূপ ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বাজারজাত করেন। এ বছর রমজানে চট্টগ্রামে যেন এরকম ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।