২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:৪৩

ব্রেকিং নিউজ

শিরোনাম

সুখবর নেই কাঁচা বাজারে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Print Friendly and PDF

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে সকল ধরনের নিত্যপণ্যের যোগান-সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও ক্রেতাদের জন্য কোন সুখবর নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে দু’একটি পণ্যের দাম সামান্য কমলেও বেশির ভাগ পণ্যের দাম চড়া।
বৃহস্পতিবার নগরীর রেয়াজউদ্দিন ও বকসিরহাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি, আলু, পেঁয়াজ, আদা, চিনি, ব্রয়লার ও মাছের বাজার গত সপ্তাহের মতো রয়েছে বেশ চড়া। বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম যে বেড়েছিল, তার থেকে আর কমেনি। এসব পণ্য চড়া দামে আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। নিত্যপণ্যের এমন অস্বাভাবিক চড়া দরে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমখি হতে দেখা যায় খুচরা ব্যবসায়ীদেরও।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুয়েকটি সবজির দাম কম থাকলেও শীতকালীন প্রায় সবজির দাম এখনো ৫০ টাকার উপরে। টমেটো, ফুলকপি, বেগুন ও দেশী আলু (নতুন) ও তিতা করলা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। পেঁপে, মূলা, বাঁধাকপি, লাউ, পেঁয়াজপাতা, কুমড়া, কাঁচামরিচ ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকায়।
সবজি ব্যবসায়ী মো. শিমুল বলেন, গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও সবজির বাজারে বেশ উত্তাপ। গতবছর এদিনে যে আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা ছিল তা বর্তমানে ৫০ টাকার উপরে। আর দেশী নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। এতে পাইকাররা দাম না কমালে আমাদের করার কিছু নেই।
অন্যদিকে বাজারে দেশী পেঁয়াজের যোগান ভালো থাকলেও দুই সপ্তাহ ধরে অস্থির হওয়া পেঁয়াজের দামের নিম্নমুখী প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। বাজারে দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি কেজিতে ১০৫ থেকে ১২০ টাকা আর আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। গত সপ্তাহের মতো এসপ্তাহেও আদা-রসুনের দাম চড়া। বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা ও রসুন ২১০ টাকা ।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজি বিক্রি ২৯০ থেকে ৩৩০ টাকা। মহিষের মাংসের দাম কমতির দিকে থাকলেও এখনো চড়া গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে মহিষের মাংস বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা আর গরুর মাংস বিক্রি ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা ও খাসি ১০৫০ টাকা।
মাছের বাজারে সরবরাহ ভালো টাকার নিচে মিলছে না কোন ধরনের মাছ।
মাঝারি সাইজের রুপচাঁদা, ইলিশ ও কোরাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার টাকার বেশি দরে। চাষের রুই, কাতলা, বিগ্রেড, কালবাউসের মতো কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি সাইজভেদে কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। পাঙাশ-তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা-গুলশা-ট্যাংরা জাতীয় মাছ কেজি ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Logo

<div class="fb-share-button" data-href="” data-layout=”button” data-size=”small”>