২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২৪

ব্রেকিং নিউজ

শিরোনাম

জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে যেসব শর্তে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩ ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
Print Friendly and PDF

কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো, আর কে করলো না তা বড় কথা নয়। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্রবাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকাতেই মিলবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি বিহীন এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি-সহ ক্ষমতাসীন দলের মিত্রদের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও নির্বাচনটি আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা কতটা পাবে, তা নিয়ে কৌতুহল থেকেই যাচ্ছে।

 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো, আর কে করলো না তা বড় কথা নয়। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে হলে অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক বলে জানান তারা।

 

বাংলাদেশের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠি নিয়ে সম্প্রতি ভারতের নয়া দিল্লিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মার্কিন কূটনীতিকরা ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কৌশলপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

প্রথমত, অবশ্যই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, একাধিক সক্রিয় প্রাথী ও প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে গড়ে অন্তত চল্লিশ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিতি থাকতে হবে। যদি এর বেশি ভোটার ভোট দেয় তাহলে গ্রহণযোগ্যতার স্বীকৃতি পাবে। এটাই আন্তর্জাতিক রীতি।

 

দ্বিতীয়ত, নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। অর্থাৎ যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা যেন সমান সুযোগ সুবিধা পায়, ভোটে যেন কোনও কারচুপি না হয় এবং নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত না হন, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

 

তৃতীয়ত, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকতে হবে। এবং এটি যদি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দৃশ্যমান হয়, তাহলে এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমা দেশগুলো কার্পণ্য করবে না।

 

এছাড়া আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে সর্বশেষ যে বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে নির্বাচন কমিশণের ভূমিকা। অর্থাৎ কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করল তার ওপর নির্ভর করছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। অতীতে যা হয়নি এবার তা করে দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যদি শেষ পর্যন্ত এমন শক্ত এবং নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় থাকে, তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে সন্দেহ অনীহা আছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে এবং সর্বমহলেই গ্রহণযোগ্য হবে।

Logo

<div class="fb-share-button" data-href="” data-layout=”button” data-size=”small”>